raat baro ta praiye cuda suru golpo
রাত আনুমানিক ১২ টা। বারিধারার ছয় তালা একটা বিল্ডিং এর ছাদ এ বসে আছে ধ্রুব।।চারদিক একেবারে নির্জন। সুনসান চারপাশ। মাঝেমাঝে দুই একটা কুকুরের ডাক শোনা যাচ্ছে।
আজ পূরনিমার রাত। তাই ছাদ টা বেশ আলোকিত। সম্পূর্ণ একা ছাদে বসে আছে ধ্রুব। এক দৃষ্টি তে আকাশের দিতে তাকিয়ে আছে সে। ঘুম আসছে না তার। একা একা পূর্ণিমা দেখতে বেশ ভালোই লাগে তার। আজ অনেকদিন পর স্মৃতির পাতা থেকে কি যেন মনে পরতে চাইছে। অনেক কষ্টে তা ভুলে থাকতে চাইছে ধ্রুব,কিন্তু পারছে না। অবশেষে হাল ছেড়ে দিল সে। বুকেরপাটা ভেতর চেপে রাখা গভীর বেদনার
স্রোতের বাধন খুলে দিল। মন যে আজ হাল্কা হতে চাইছে।।।।। সময় টা আজ থেকে ঠিক দুবছর আগের
এমনই কোন এক দিনে যেদিন কোলাহল মুখর দিনের শেষে এরকমই একটি পূর্ণিমার রাতের কথা ছিল।
আজ পূরনিমার রাত। তাই ছাদ টা বেশ আলোকিত। সম্পূর্ণ একা ছাদে বসে আছে ধ্রুব। এক দৃষ্টি তে আকাশের দিতে তাকিয়ে আছে সে। ঘুম আসছে না তার। একা একা পূর্ণিমা দেখতে বেশ ভালোই লাগে তার। আজ অনেকদিন পর স্মৃতির পাতা থেকে কি যেন মনে পরতে চাইছে। অনেক কষ্টে তা ভুলে থাকতে চাইছে ধ্রুব,কিন্তু পারছে না। অবশেষে হাল ছেড়ে দিল সে। বুকেরপাটা ভেতর চেপে রাখা গভীর বেদনার
স্রোতের বাধন খুলে দিল। মন যে আজ হাল্কা হতে চাইছে।।।।। সময় টা আজ থেকে ঠিক দুবছর আগের
এমনই কোন এক দিনে যেদিন কোলাহল মুখর দিনের শেষে এরকমই একটি পূর্ণিমার রাতের কথা ছিল।
তানিয়া সেদিন ধ্রবর সাথে একসাথে পূর্ণিমার চাদ দেখবে বলে কথা দিয়েছিল। তার সেই স্বপ্নের চাঁদ দেখা আর হয়নি। তানিয়া ধ্রুবর ফুফাতো বোন। খুব ভালো সম্পর্ক ছিল তাদের মাঝে। কখন যে সম্পর্ক টা ভালোবাসায় রুপ নিয়েছে কেউ ই বলতে পারবে না। যখন বুঝতে পেরেছে,একমুহূর্তদেরি করে নি ধ্রুব।
তানিয়া কে তার মনের কথা জানিয়ে দিয়েছে।তানিয়া ও যেন মনে মনে এই সময় টির ই অপেক্ষা করছিল,কারণ সে ও যে খুব ভালোবাসে ধ্রুব কে। এভাবেই খুব ভালোই কাটছিল
তাদের দিনগুলো। ব্যাপার টি তাদের পরিবারের মধ্যে জানাজানি হতেও বেশি সময় নেয় নি। উভয় পরিবার ই খুশি হয়েই মেনে নিয়েছে তাদের এই সম্পর্ক তানিয়ার অনার্স টা কমপ্লিট হলেই তাদের সম্পর্ক
টা বাধনে পরিণত হবে। তানিয়া তার পরিবারের সাথে চিটাগাং থাকে আর ধ্রুবরা থাকে ঢাকায়। প্রতিটা দিন তাদের স্বপ্নের মতই কাটছিল। যদিও দুজন দুজন থেকে এত দূরে কিন্তু দূরত্ব তাদের ভালোবাসার পথেঘাটে বাধা হয়েই দাড়াতে পারে নি। কিন্তু প্রকৃতি তাদের এই ভালোবাসাকে সহ্য করতে পারেনি হয়তো।নিশ্চয়ই খুব হিংসা হচ্ছিল তার। হ্যা সেদিন ঢাকায় আসার
কথা ছিল তানিয়ার। ধ্রুবদের বাসায় কিছুদিন বেড়ানো এবং সেই সাথে ধ্রুবর সাথে কিছু একান্ত সময় কাটানোর জন্যই ঢাকায় আসছিল সে। অনেক না বলা কথা যে জমে আছে।।।। দুপুরের আগেই ধ্রুবদের বাসায় হাজির হয় তানিয়া। একে একে বিসার সকলের সাথেই কুশল বিনিময় করে কিন্তু ঐ শয়তান টা কোথায়??? ওকে তো দেখছিনা। ধ্রুবর আম্মুর কাছ থেকে জানতে পারে ধ্রুব ওর
ঘড়েই আছে। ঘড়েই প্রবেশ করেই..... তানিয়া : আমাকে কি আর এখন চোখে লাগে না??? লাগবেই বা কেন??? আমি তো এখন পুরান হয়ে গেছি,তাই না??? ধ্রুব :(এক গাল হেসে) হুম। তখন
যদি সবার সামনে তোমার সাথে দেখা করতাম তাহলে কি এই মিষ্টি রুপ টা দেখতে পারতাম???!! জানো রাগলে না তোমায় খুব সুন্দর লাগে!! তানিয়া : হইছে আর বলতে হবে না কিছু। আমি কচি খুকি না!!! মুখ গম্ভীর করে রাখে সে। ধ্রুব : আচ্ছা বাবা সরি, আমার ভুল হয়ে গেছে। এই কানে ধরলাম। ধ্রুব কে সত্যিই কানে ধরতে দেখে ফিক করে হেসে দেয় তানিয়া। ধ্রুব ও হাসিতে যোগ দেয়।।
ধ্রুব :আজ পূর্ণিমা, জানো??? তানিয়া :হুম। আজ তোমার সাথে একসাথে সারারাত পূর্ণিমা দেখব।
বিকেলবেলা তানিয়া কে নিয়ে হোন্ডায় করে ঘুড়তে বের হয় ধ্রুব। সারা বিকেল ঘুড়ে সন্ধ্যার দিকে বাসার
উদ্দ্যেশে রওনা দেয় ধ্রুব। সারা রাস্তায় তানিয়ার বকবক
শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে ধ্রুবর। সারাক্ষণ একের পর এক প্রশ্ন করেই চলছে বিরামহীন। উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত ছাড়ছে না। কি সব ফালতু প্রশ্ন রে বাবা!! হঠাৎ কোথা থেকে যেন একটা বাচ্চা দৌড়ে এসে হোন্ডার সামনে পড়ে। তাকে বাচানোর জন্য হোন্ডার মুখ ঘোড়াতেই
সজোরে একটা প্রাইভেট কার এর সাথে ধাক্কা খেয়ে ভারসাম্য হারায় ধ্রুব। এক ধাক্কায় ছিটকে পরে রাস্তার এক পাশে। জ্ঞান হারানোর ঠিক আগ মুহূর্তে তানিয়াকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে সে।ব্যাকুল
আগ্রহ নিয়ে কি যেন বলতে চাইছে মেয়ে টা।।। হাসপাতালে যখন জ্ঞান ফিরে ধ্রুবর তখন চারপাশে সকল
পরিচিত মুখ থাকলেও সেই মায়াবী একটি মুখ অনুপস্থিত
থাকে। ধ্রুব কাউকে কিছু জিজ্ঞাস করে না কারণ সে জানে তানিয়া কোথায়।।। তানিয়া যে তার জন্য আজ ছাদে অপেক্ষা করছে। আজ তো তাদের একসাথে পূর্ণিমা দেখার কথা!!!! হ্যা সেই একসিডেন্ট এ রাস্তায় ই মারা যায় তানিয়া। শুধু তানিয়া নয় তার সাথে ধ্রুবর মনেরও মৃত্যু ঘটে। তানিয়ার মৃত্যুতে প্রায় পাগল হয়ে গিয়েছিল ধ্রুব। নিজেকেই সে সম্পূর্ণ দোষী ভেবেছে এবং কয়েকবার ই আত্নশোচনা থেকে আত্নহত্যা করতে গিয়েছিল। কল্পনা থেকে বাস্তবে ফিরে আসে সে। উপলব্ধি করতে পারে যে দুচোখ বেয়ে অবিরাম অশ্রু ঝরছে। ঝরুক না সমস্যা কি?? এতে করে যদি মন কিছুটা হাল্কা হয়।।। ধ্রুবর এখনো মনে পড়ে তানিয়ার শেষ ইচ্ছের কথা। একসাথে বসে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা। ধ্রুবর ইচ্ছে করে বলতে, তানিয়া তুমি কি শুনতে পাও আমার কথা!?আমি আজো তোমার অপেক্ষায় আছি। একসাথে পূর্ণিমা দেখব বলে আমি আজো তোমার পথ
চেয়ে আছি
তানিয়া কে তার মনের কথা জানিয়ে দিয়েছে।তানিয়া ও যেন মনে মনে এই সময় টির ই অপেক্ষা করছিল,কারণ সে ও যে খুব ভালোবাসে ধ্রুব কে। এভাবেই খুব ভালোই কাটছিল
তাদের দিনগুলো। ব্যাপার টি তাদের পরিবারের মধ্যে জানাজানি হতেও বেশি সময় নেয় নি। উভয় পরিবার ই খুশি হয়েই মেনে নিয়েছে তাদের এই সম্পর্ক তানিয়ার অনার্স টা কমপ্লিট হলেই তাদের সম্পর্ক
টা বাধনে পরিণত হবে। তানিয়া তার পরিবারের সাথে চিটাগাং থাকে আর ধ্রুবরা থাকে ঢাকায়। প্রতিটা দিন তাদের স্বপ্নের মতই কাটছিল। যদিও দুজন দুজন থেকে এত দূরে কিন্তু দূরত্ব তাদের ভালোবাসার পথেঘাটে বাধা হয়েই দাড়াতে পারে নি। কিন্তু প্রকৃতি তাদের এই ভালোবাসাকে সহ্য করতে পারেনি হয়তো।নিশ্চয়ই খুব হিংসা হচ্ছিল তার। হ্যা সেদিন ঢাকায় আসার
কথা ছিল তানিয়ার। ধ্রুবদের বাসায় কিছুদিন বেড়ানো এবং সেই সাথে ধ্রুবর সাথে কিছু একান্ত সময় কাটানোর জন্যই ঢাকায় আসছিল সে। অনেক না বলা কথা যে জমে আছে।।।। দুপুরের আগেই ধ্রুবদের বাসায় হাজির হয় তানিয়া। একে একে বিসার সকলের সাথেই কুশল বিনিময় করে কিন্তু ঐ শয়তান টা কোথায়??? ওকে তো দেখছিনা। ধ্রুবর আম্মুর কাছ থেকে জানতে পারে ধ্রুব ওর
ঘড়েই আছে। ঘড়েই প্রবেশ করেই..... তানিয়া : আমাকে কি আর এখন চোখে লাগে না??? লাগবেই বা কেন??? আমি তো এখন পুরান হয়ে গেছি,তাই না??? ধ্রুব :(এক গাল হেসে) হুম। তখন
যদি সবার সামনে তোমার সাথে দেখা করতাম তাহলে কি এই মিষ্টি রুপ টা দেখতে পারতাম???!! জানো রাগলে না তোমায় খুব সুন্দর লাগে!! তানিয়া : হইছে আর বলতে হবে না কিছু। আমি কচি খুকি না!!! মুখ গম্ভীর করে রাখে সে। ধ্রুব : আচ্ছা বাবা সরি, আমার ভুল হয়ে গেছে। এই কানে ধরলাম। ধ্রুব কে সত্যিই কানে ধরতে দেখে ফিক করে হেসে দেয় তানিয়া। ধ্রুব ও হাসিতে যোগ দেয়।।
ধ্রুব :আজ পূর্ণিমা, জানো??? তানিয়া :হুম। আজ তোমার সাথে একসাথে সারারাত পূর্ণিমা দেখব।
বিকেলবেলা তানিয়া কে নিয়ে হোন্ডায় করে ঘুড়তে বের হয় ধ্রুব। সারা বিকেল ঘুড়ে সন্ধ্যার দিকে বাসার
উদ্দ্যেশে রওনা দেয় ধ্রুব। সারা রাস্তায় তানিয়ার বকবক
শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে ধ্রুবর। সারাক্ষণ একের পর এক প্রশ্ন করেই চলছে বিরামহীন। উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত ছাড়ছে না। কি সব ফালতু প্রশ্ন রে বাবা!! হঠাৎ কোথা থেকে যেন একটা বাচ্চা দৌড়ে এসে হোন্ডার সামনে পড়ে। তাকে বাচানোর জন্য হোন্ডার মুখ ঘোড়াতেই
সজোরে একটা প্রাইভেট কার এর সাথে ধাক্কা খেয়ে ভারসাম্য হারায় ধ্রুব। এক ধাক্কায় ছিটকে পরে রাস্তার এক পাশে। জ্ঞান হারানোর ঠিক আগ মুহূর্তে তানিয়াকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে সে।ব্যাকুল
আগ্রহ নিয়ে কি যেন বলতে চাইছে মেয়ে টা।।। হাসপাতালে যখন জ্ঞান ফিরে ধ্রুবর তখন চারপাশে সকল
পরিচিত মুখ থাকলেও সেই মায়াবী একটি মুখ অনুপস্থিত
থাকে। ধ্রুব কাউকে কিছু জিজ্ঞাস করে না কারণ সে জানে তানিয়া কোথায়।।। তানিয়া যে তার জন্য আজ ছাদে অপেক্ষা করছে। আজ তো তাদের একসাথে পূর্ণিমা দেখার কথা!!!! হ্যা সেই একসিডেন্ট এ রাস্তায় ই মারা যায় তানিয়া। শুধু তানিয়া নয় তার সাথে ধ্রুবর মনেরও মৃত্যু ঘটে। তানিয়ার মৃত্যুতে প্রায় পাগল হয়ে গিয়েছিল ধ্রুব। নিজেকেই সে সম্পূর্ণ দোষী ভেবেছে এবং কয়েকবার ই আত্নশোচনা থেকে আত্নহত্যা করতে গিয়েছিল। কল্পনা থেকে বাস্তবে ফিরে আসে সে। উপলব্ধি করতে পারে যে দুচোখ বেয়ে অবিরাম অশ্রু ঝরছে। ঝরুক না সমস্যা কি?? এতে করে যদি মন কিছুটা হাল্কা হয়।।। ধ্রুবর এখনো মনে পড়ে তানিয়ার শেষ ইচ্ছের কথা। একসাথে বসে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা। ধ্রুবর ইচ্ছে করে বলতে, তানিয়া তুমি কি শুনতে পাও আমার কথা!?আমি আজো তোমার অপেক্ষায় আছি। একসাথে পূর্ণিমা দেখব বলে আমি আজো তোমার পথ
চেয়ে আছি
0 comments:
Post a Comment
Thanks For Your Message.